বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসার মূল প্রতিযোগিতা আর শুধু পণ্যের গুণগত মান বা পণ্যের দামের উপর নির্ভর করে না। বরং ব্যবসার অবস্থান এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী, পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর কৌশলই হয়ে উঠেছে ব্যবসায় সাফল্য লাভের মূল চাবিকাঠি। আর এই বিষয়টাতেই Search Engine Optimization (SEO)-এর গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়।
বিশেষ করে, বাংলাদেশের ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা (SME) এবং স্টার্টআপদের জন্য SEO হতে পারে প্রথম এবং সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য, সবচেয়ে কার্যকরী ডিজিটাল বিনিয়োগ। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন দেশের অন্যতম উদীয়মান ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি Algomindz।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই
বাংলাদেশে প্রতিদিন নতুন নতুন SME এবং স্টার্টআপ গড়ে উঠছে। যার একটি বড় অংশ শুরুতেই যথাযথভাবে অনলাইন মার্কেটিং ও SEO-কে প্রাধান্য না দেয়ার কারণে পিছিয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে, Algomindz-এর প্রতিষ্ঠাতা ও SEO কনসালটেন্ট পূজন কুমার সাহা বলেন, “স্টার্টআপদের অনেকেই প্রাথমিক বাজেটের বেশিরভাগটাই প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডে ব্যয় করেন, কিন্তু Google-এ তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকে না। অথচ একজন ক্রেতা যখন ‘বেস্ট ফার্নিচার ইন ঢাকা’ বা ‘লেডিজ বুটিক ইন নারায়ণগঞ্জ’-এর মতো কীওয়ার্ড সার্চ করেন, তখনই তার কেনাকাটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যদি সেই সময়ে আপনি সেখানে না থাকেন, তাহলে কাস্টমারও থাকবে না।”
SEO: এককালীন নয়, দীর্ঘমেয়াদী সল্যুশন
SEO কোনো এককালীন মার্কেটিং টেকনিক নয় — এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী ব্র্যান্ড বিল্ডিং প্রসেস। একজন SME উদ্যোক্তা যদি শুরুতেই নিজের ব্যবসার জন্য একটি SEO-সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং নিয়মিত কনটেন্ট দিয়ে, অন-পেজ ও অফ-পেজ SEO কৌশল অনুসরণ করেন, তবে তার ব্যবসা খুব দ্রুত গুগলের প্রথম পাতায় চলে আসতে পারে।
Algomindz-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা গত ১ বছরে SME খাতে কাজ করে যেসব ফলাফল পেয়েছে:
- একটি রিয়েল এস্টেট স্টার্টআপ-এ ৪ মাসে ৮০০% ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক বৃদ্ধি পেয়েছে
- একটি ই-কমার্স ফার্নিচার ব্র্যান্ড শুধুমাত্র SEO- এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ১,৫০০+ অর্গানিক ভিজিট পাচ্ছে
- গুগলে প্রথম পাতায় থাকা কাস্টমারদের রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (ROI) বেড়েছে ৩ গুণ
ব্যবসার ক্ষেত্রে SEO কেন প্রথম বিনিয়োগ হওয়া উচিত?
১. কম খরচে দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল: সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাড বা ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং-এর তুলনায় SEO অনেক বেশি স্থায়ী এবং কার্যকরী।
২. বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি: গুগলে প্রথম সারিতে আসা মানেই বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি, যা নতুন ব্র্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৩. লোকেশন-ভিত্তিক কাস্টমার টার্গেটিং: Local SEO’র মাধ্যমে রংপুর, ঢাকার মিরপুর বা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের মতো নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসকারী সিলেক্টিভ কাস্টমারদেরকে টার্গেট করা সম্ভব।
৪. কাস্টমার ইনটেন্ট বোঝা যায়: Google সার্চে আগ্রহী মানুষ অনেক সময় কোনো পণ্য কেনার জন্যেই গুগলের সাহায্য নিয়ে থাকে, ফলে এক্ষেত্রে লিড কনভার্সন বেশি হয়।
ভুল ধারণা দূর করা জরুরি
বাংলাদেশে এখনো অনেক SME উদ্যোক্তা মনে করেন SEO মানেই শুধু “ওয়েবসাইটে কীওয়ার্ড বসানো” বা “একজন ছেলেকে দিয়ে একটু SEO করানো”। যা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। SEO একটি স্ট্র্যাটেজিক প্রক্রিয়া যেখানে টেকনিক্যাল দক্ষতা, কনটেন্ট অপটিমাইজেশন, ব্যাকলিঙ্ক বিল্ডিং এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স সবকিছু একসাথে কাজ করে।
ভবিষ্যতের পথে Algomindz
Algomindz মনে করে, ডিজিটাল বাংলাদেশে ব্যবসার পরবর্তী ধাপ হবে অর্গানিক লিড জেনারেশন, উত্তরভিত্তিক সার্চ (AEO), এবং ব্র্যান্ড ট্রাস্ট।
বর্তমানে গুগলসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো শুধু লিংক নয়, বরং সরাসরি উত্তর দিয়ে (Answer Engine Optimization) ইউজারদের কনটেন্ট সরবরাহ করছে। এ কারণে Algomindz এখন AEO-ভিত্তিক কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি চালু করেছে, যাতে ব্যবসার ওয়েবসাইটগুলো “People also ask”, “Featured Snippets” এবং ভয়েস সার্চে আরও বেশি ভিজিবল হয়।
এ লক্ষ্যে তারা SME ও স্টার্টআপদের জন্য আলাদা SEO প্ল্যান, AEO-অপটিমাইজড কনটেন্ট সার্ভিস এবং ট্রেইনিং সাপোর্ট চালু করছে যাতে কম বাজেটেও ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেন।
উপসংহার
যেকোনো SME বা স্টার্টআপ যখন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ভাবেন, তখন তাদের প্রথম প্রশ্ন হওয়া উচিত: “আমি গুগলে খুঁজলে আমার ব্যবসা কি দেখা যায়?” যদি উত্তর না হয়, তাহলে আজই SEO-তে বিনিয়োগ শুরু করা বেশ জরুরি।
সংযোগের জন্য:
ওয়েবসাইট: www.algomindz.com
ইমেইল: contact@algomindz.com
মোবাইল নাম্বার: + ৮৮ ০১৬৮৫ ৬৪৩ ৬০৩
ঠিকানা: বাসা নংঃ ০৭, রাস্তাঃ ২/এ, ব্লকঃ এফ, বনানী, ঢাকা, বাংলাদেশ ১২১৩