Friday, June 20, 2025
Homeআন্তর্জাতিকইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

মোজো ডেস্কঃ
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখনই হামলার চূড়ান্ত নির্দেশ দিচ্ছেন না তিনি। মূলত ইরান শেষ পর্যন্ত তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করে কিনা এটিই দেখতে অপেক্ষা করছেন তিনি।

ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার (১৮ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার রাতে তার শীর্ষ উপদেষ্টাদের জানিয়েছেন, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন। তবে এখনই হামলার চূড়ান্ত নির্দেশ দিচ্ছেন না। ইরান শেষ পর্যন্ত তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করে কিনা সেটাই দেখতে তিনি অপেক্ষা করছেন।

এই পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনায় রয়েছে ইরানের সুদৃঢ়ভাবে সুরক্ষিত ফোর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র। এটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত এবং সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, সাধারণ অস্ত্রে এই স্থাপনা ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব। শুধুমাত্র সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা দিয়েই এটিকে আঘাত করা সম্ভব।

এর আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমি (ইরানে) হামলা করতে পারি, আবার নাও করতে পারি”। তিনি আবারও ইরানের প্রতি “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের” দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, “আগামী সপ্তাহটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে— সম্ভবত এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে।”

এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, “ইরান কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না” এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিক হস্তক্ষেপ করে, তবে তার ফলাফল হবে “অপূরণীয় ক্ষতি”।

এমন অবস্থায় গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর তৃতীয় একটি ডেস্ট্রয়ার প্রবেশ করেছে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে। আর একটি দ্বিতীয় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠানো হচ্ছে আরব সাগরের দিকে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই প্রস্তুতি “প্রতিরক্ষামূলক”, তবে এতে মার্কিন বাহিনী আরও ভালো অবস্থানে থাকবে, যদি ট্রাম্প ইসরায়েলের মতো করে ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

একইসঙ্গে, এটি ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশলও হতে পারে, যেন তেহরান পারমাণবিক ইস্যুতে মাথা নত করে বা কিছু ছাড় দেয়।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর