মোজো ডেস্কঃ
র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের সংকটে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে বন্ধ হয়ে গেছে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা। ফলে উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
খুমেক করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে কিট ফুরিয়ে গেলে পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। ওই দিন মোট ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে একজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
তিনি বলেন, ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট ফুরিয়ে যাওয়ায় পরীক্ষা আপাতত বন্ধ আছে। পিসিআর ল্যাবও বিকল। কিট চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে।’
বর্তমানে খুমেক হাসপাতালে একজন রোগী ভর্তি রয়েছেন, নাম করুনা বেগম। অন্যদিকে, সুমাইয়া আক্তার নামের এক রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
করোনা চিকিৎসায় সংকট আরও গভীর হয়েছে, কারণ খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রস্তুত ৪০টি সাধারণ শয্যা ও ১০টি আইসিইউ শয্যা থাকলেও কিট ও পিসিআর যন্ত্র না থাকায় কার্যত অচল অবস্থায় আছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।
২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত খুমেকে ১০ হাজার ৯৭ জন করোনা রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৩৮৮ জন। তবে ২০২৪ সালে কোনো করোনা পরীক্ষা হয়নি।
খুলনা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালেও করোনা রোগীদের জন্য আলাদা শয্যা নেই। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে ৩০০টি কিট মজুত আছে, আরও ৩ হাজার চাওয়া হয়েছে।’
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান।
তিনি জানান, বিভাগের অধিকাংশ হাসপাতালেই কিট নেই বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। সব জেলার চাহিদা একত্র করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের দেয়া ১১ দফা সতর্কতা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।