Sunday, July 20, 2025
Homeজাতীয়কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের হাতে ৩ বাংলাদেশি আটক

কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের হাতে ৩ বাংলাদেশি আটক

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

মোজো ডেস্কঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক তিন বাংলাদেশি চোরাকারবারির সদস্য বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে বিজিবির-৪৬ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মধ্যরাতে শরীফপুর ইউনিয়নের হরিপুর সীমান্ত থেকে স্থানীয় সঞ্জরপুর গ্রামের বাসিন্দা আনু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (৩০), হরিপুর গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে মাসুক রহমান (২৬) ও তৈয়ব আলীর ছেলে সিপার আহমদ (২৫) নামে তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায় বিএসএফ। স্বজনরা বলছেন, সীমান্ত এলাকায় মাছ ধরার সময় চোরাকারবারি সন্দেহে বিএসএফ ওই তিনজনকে আটক করে।

বিএসএফের হাতে আটক মাসুক রহমানের ভাই ময়নুল মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে মাছ শিকার করার সময় ১৫-২০ জন বিএসএফ এসে আমার ভাইসহ আরও দুজনকে আটক করে নিয়ে যায়। আমরা বিষয়টি স্থানীয় বিজিবিকে জানিয়েছি, তারা বলছে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছে।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বাংলাদেশি চোরাকারবারিদের ২০ জনের একটি দল শরীফপুর বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ১৮৫৯/এম সীমান্তের ১ হাজার ৮৫৯ নম্বর মূল খুঁটি দিয়ে ভারতের ২০০ গজ অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন। সেখানে তারা চোরাই মালামাল আনার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। একপর্যায়ে বিএসএফের ১৯৯ ব্যাটালিয়নের স্থানীয় টিলাবাজার ক্যাম্পের টহল দল সেখানে অভিযান চালিয়ে সোহাগ মিয়া, মাসুক রহমান ও সিপার আহমদকে আটক করে।

এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) থেকে কমান্ড্যান্ট ১৯৯ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। পরে ওই ব্যক্তিদের গত ১৮ জুলাই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনোকুটি জেলার ইরানি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে ইরানি থানায় মামলা হয়েছে। এদিকে আটক তিন বাংলাদেশিকে ইরানি থানা পুলিশ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের (শ্রীমঙ্গল) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, তিন বাংলাদেশিকে বিএসএফের ধরে নেওয়ার বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি। বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফের ১৯৯ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর