মাসুদ রানা, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সরকারি বাসভবনে বসবাস করেও দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে অবৈধভাবে বাড়িভাতা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর মো. মোর্শেদ আলম শাহ্-এর বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট উপজেলা পরিষদের রূপালি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। পরে বরাদ্দপ্রাপ্ত কক্ষসহ আরও দুটি কক্ষে স্বপরিবারে বসবাস শুরু করেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করেও তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার মূল বেতনের সঙ্গে বাড়িভাতা হিসেবে মোট ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪ টাকা উত্তোলন করেছেন। যা সকল কর্মচারী চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০০৯ -এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
উক্ত আদেশের ধারা ২-এ বলা হয়েছে, “যারা সরকারি বাসস্থানে বসবাস করেন, তারা এই বাড়িভাতার অধিকার রাখবেন না।” এছাড়াও ১ জুলাই ২০১৫ সাল থেকে সরকারি বাসস্থানে বসবাসরতদের বেতনের ৫%-৭.৫% হারে বাড়িভাড়া কর্তনের নিয়মও রহিত করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, তিনি মাসে মাত্র ২ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া দিলেও সেটি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বাড়িভাতা গ্রহণের অনুমতি দেয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মোর্শেদ আলম শাহ্ বলেন, “সরকারি লোক তো সরকারি বাসায় থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।”
তবে খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, “বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে দেখা হবে। কেউ আইন লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত সুবিধা নিচ্ছেন কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলে সরকারি অর্থ আত্মসাতের এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়েও।