মোঃ আসতারুল আলম, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর হাটে বেশ সাড়া ফেলেছে খুশির খামারের ‘প্রিন্স’ নামের এক বিশালদেহী গরু। ৩০ মণ ওজনের এ গরুটিকে ঘিরে দিনাজপুর জেলাজুড়ে উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন।
কালো-সাদা রঙের এই গরুটি হলিস্ট্রিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের। দৈর্ঘ্য প্রায় আট ফুট, উচ্চতা সাড়ে ছয় ফুট। গরুটির বয়স প্রায় তিন বছর। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর বড়দীঘি এলাকার খুশি রহমানের খামার “মাতাসাগর কে এস এগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্ম”-এর প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে ‘প্রিন্স’।
খুশি রহমান জানান, গত তিন বছর ধরে সন্তানতুল্য মমতায় প্রিন্সকে লালনপালন করেছেন তিনি। প্রতিদিন নিয়ম করে গোসল, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টিকর খাবার এবং ইনহাউস চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে গরুটির যত্ন নেওয়া হয়।
প্রিন্সের খাদ্য তালিকায় রয়েছে সবুজ ঘাস, ভেজানো ছোলা, গমের ভুসি, খৈল, লাউ, কুমড়া ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্য। গরুটিকে দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করানো হয়, ব্যবহার করা হয় হালকা সাবান ও শ্যাম্পু, পাশাপাশি মশার কামড় থেকে রক্ষায় ব্যবহার করা হয় মশানাশক স্প্রে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এখন পর্যন্ত প্রিন্সের জন্য ১০ লাখ টাকা দাম হাঁকা হয়েছে। তবে এখনো বিক্রি হয়নি। মালিক খুশি বলেন, “আমি গরুটিকে শুধু ব্যবসার জন্য বড় করিনি, ভালোবেসে পালন করেছি। আশা করি প্রিন্সের উপযুক্ত মূল্য পাব এবং একজন ভালো ক্রেতার কাছেই যাবে সে।”
তিন বছর ধরে গরুটিকে খামারেই রাখা হয়েছে, কোনোদিন বাইরে নেওয়া হয়নি। ফলে হাটে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলেই মালিক খুশি গরুটিকে খামার থেকেই বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রিন্সের আকৃতি, ওজন ও রঙের সংমিশ্রণ দিনাজপুরসহ গোটা উত্তরাঞ্চলে ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এবার ঈদুল আজহার বাজারে ‘প্রিন্স’-এর মতো বিশালাকৃতির গরু খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। ফলে গরুটি এখন দিনাজপুরের কোরবানির বাজারে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে পরিণত হয়েছে।