Thursday, May 1, 2025
Homeলালমনিরহাটচালু হচ্ছে পরিত্যাক্ত লালমনিরহাট বিমানবন্দর

চালু হচ্ছে পরিত্যাক্ত লালমনিরহাট বিমানবন্দর

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

রংপুর নিউজঃ
পর্যটন খাতের সম্ভাবনা ও যাত্রী বৃদ্ধি, সড়ক ও রেলপথে চাপ কমানো, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কয়েকটি পরিত্যক্ত বিমানবন্দর চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বন্ধ থাকা ২৮টি বিমানবন্দরের মধ্যে ৭টি বিমানবন্দর দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, বগুড়া, শমসেরনগর, কুমিল্লা ও তেজগাঁও বিমানবন্দর। ইতিমধ্যে আগামী জুন মাসে বগুড়া বিমানবন্দর চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালু করার জন্য বেবিচকের ৪ সদস্যের একটি টিম বিমানবন্দরটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। তারা বিমানবন্দরটি চালু করার বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া অন্য বিমানবন্দরগুলো পরিদর্শন করে দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বেবিচক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত পহেলা এপ্রিল বেবিচক চেয়ারম্যানকে লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর জন্য চিঠি দেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার।

চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের উত্তর জনপদের প্রান্তিক জেলা লালমনিরহাটে ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলাদেশে নির্মিত ৬টি বিমানবন্দরের অন্যতম বৃহত্তম বিমানবন্দরটি অবস্থিত। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৯৩১ সালে নির্মিত ৪ কিলোমিটার রানওয়ে-বিশিষ্ট এই বিমানবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত। একটি বিমানবন্দরের উল্লেখযোগ্য অবকাঠামো যেমন ৪ কিলোমিটার রানওয়ে, বিশাল টারমাক, হ্যাঙ্গার, ট্যাক্সিওয়ে ইত্যাদি অবকাঠামো পরিত্যক্ত এ বিমানবন্দরে বিদ্যমান রয়েছে। সামান্য সংস্কার করা হলেই এগুলো ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে। এ বিমানবন্দর চালু করতে কোনো ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সর্বশেষবারের মতো এই বিমানবন্দর ব্যবহৃত হয়েছে যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলসহ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি রাজ্য, নেপাল ও ভুটানে যোগাযোগের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল। স্বাধীনতা লাভের পর বিভিন্ন সময় পরিত্যক্ত এ বিমানবন্দর চালুর দাবি করা হলেও এখনও চালু হয়নি।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘লালমনিরহাট জেলা বাংলাদেশের প্রান্তিক ও ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়ায় এ জেলাসহ পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম, রংপুর জেলার কিছু অংশ, গাইবান্ধা জেলা ও নীলফামারী জেলার কিছু অংশের যোগাযোগব্যবস্থা বেশ অনুন্নত। এ কারণে এ অঞ্চলের দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ। শিক্ষার হার, বিদেশে কর্মরত প্রবাসীর সংখ্যা, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্পকারখানার সংখ্যা বিবেচনায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এ অঞ্চল অনেক পিছিয়ে। কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর ও লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর চালু হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এখানে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়নি।

এ ছাড়াও সম্প্রতি কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিত্যক্ত এ বিমানবন্দর চালু হলে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম হয়ে উঠবে উত্তরাঞ্চলসহ ভারতের ৭ রাজ্য, নেপাল, ভুটান, সিকিম ও তিব্বত অঞ্চলের জন্য এক আকর্ষণীয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ও পর্যটন কেন্দ্র। এর ফলে এ অঞ্চলের দারিদ্র্যের অবসান ঘটবে এবং টেকসই লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জিত হবে।’

 

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর