ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মানুষের বহু প্রত্যাশিত চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতু অবশেষে আগামী ২ আগস্ট যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে। সেতুটির উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
তবে উদ্বোধনের ঘোষণা এলেও চিলমারী উপজেলার সংযোগ সড়কের কাজ এখনও অসম্পূর্ণ, যা স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন অংশ ভাঙা, কোথাও খোঁড়া অবস্থায় রয়েছে, আবার অনেক জায়গায় কাজ ধীরগতিতে চলছে। এতে করে সেতুর পূর্ণ সুবিধা নিতে পারছে না সাধারণ মানুষ।
চিলমারী উপজেলার হেডকোয়ার্টার-পাঁচপীর জিসি সড়কের (চেইনেজ: ১২২০ মি. থেকে ৫২৩০ মি.) উন্নয়ন কাজ এবং হেডকোয়ার্টার-পাঁচপীর জিসি সড়কের (চেইনেজ: ০.০০ মি. থেকে ১২২০ মি.) আরেকটি অংশ মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার চুক্তিমূল্যে কাজটি পান মীর হাবিবুল আলম, নওগাঁ জেলার উত্তর বড়গাছা এলাকার এক ঠিকাদার।
কাজটি পাওয়ার পর একাধিক হাতবদল, অনুপস্থিতি এবং সময়ক্ষেপণের ফলে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১৭০০ মিটার সংযোগ সড়ক এখনও বাকি রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের বেহাল অবস্থায় তারা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তারা দ্রুত এই সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন করে পুরো সেতুর সুফল ভোগ করতে চান।
চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলী বলেন, “কলেজ মোড় থেকে ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তাটি আলাদা প্যাকেজের আওতায়। হরিপুর অঞ্চলের কাজের দুই বছর পর এই কাজের টেন্ডার হয়েছে। সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে এবং আশা করছি এর আগেই কাজ শেষ হবে।”