মোঃ আসতারুল আলম, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজারো ভক্তের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে রথযাত্রার শোভাযাত্রা বের হয়। দিনাজপুর শহরের গণেশতলার রায়সাহেববাড়ি রথখোলা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে এবং উত্তর বালুবাড়ী শ্রী শ্রী মশান কালি মন্দির থেকে দুপুর ২টায় রথযাত্রা শুরু হয়। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে শহরের গুঞ্জাবাড়ী রাধাকৃষ্ণ মন্দির থেকে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) আয়োজিত আরেকটি রথযাত্রা বের হয়।
রথযাত্রা উপলক্ষ্যে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন সড়কজুড়ে হাজার হাজার ভক্তের ভিড় জমে। খালি পায়ে রথের রশি টেনে রথ টানেন ভক্তরা। এ সময় পথের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন বাতাসা, লাড্ডু, সন্দেশ, ফল এবং পয়সা ছিটিয়ে দেন ভগবানের উদ্দেশ্যে। এটি শ্রী জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মন্দির ত্যাগ করে ভক্তদের মাঝে আসার প্রতীকী উৎসব হিসেবে বিবেচিত হয়।
রথযাত্রা আয়োজক কমিটির সভাপতি বিক্রমী রাম দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সর্বাত্মা বলরাম দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “রথযাত্রা হলো ঈশ্বরের নিজের ভক্তদের কাছে আসার প্রতীকী অভিব্যক্তি। জাতপাত, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার জন্য খোলা থাকে তার দরজা।”
দিনাজপুর রায়সাহেব দেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট চিত্ত ঘোষ বলেন, “এই ধর্মীয় উৎসব আষাঢ় মাসে অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি কেবল ধর্মীয় নয়, বরং সামাজিক সহাবস্থান ও সৌহার্দ্যের এক জ্বলন্ত উদাহরণ।”
রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকায় বসে রথমেলা। হস্তশিল্প, পিঠা-পুলির দোকান, খেলনা ও কীর্তনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুখরিত থাকে মেলার চারপাশ।
এদিকে, রথযাত্রায় আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মাঝে পানি বিতরণ করেন বিএনপি নেতা বখতিয়ার আহম্মেদ কচি, আব্দুল মন্নাফ মুকুল ও বাবু চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।