ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপির মহিলা নেত্রী জেয়ারা খাতুন রুজির নির্দেশে বসানো কোরবানির পশুর হাট এখনো সরানো হয়নি। প্রশাসনের দায়িত্বহীনতায় এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার উপজেলার চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুমতি না নিয়েই পশুর হাট বসানো হচ্ছে।
হাট ইজারা পেয়েছেন ওহেদ-রানা। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রামে। তবে স্থানীয় বিএনপি নেত্রী তাঁর থেকে নিয়ে চালাচ্ছেন। এই বিএনপি নেত্রীর জেয়ারা খাতুন রুজি উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতাও করছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বহীনতায় নির্দেশনা অমান্য করে স্কুল মাঠে বসানো হয়েছে এই হাট। সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুল মাঠে সারি সারি গরু-ছাগল খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। এতে দেখা গেছে স্কুল মাঠের অনেক জায়গায় বাঁশের খুঁটি বসানো হয়েছে৷ এছাড়াও স্কুলের সামনে মাটিকাটা-হরিপুর সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীরাও৷
চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান সাজু বলেন, আমার শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিয়ে অভিযোগ তুলে নিয়েছে আর সবচেয়ে বড় কথা হইলো আমার চাকরির বয়স শেষ তাই এলাকাবাসীর সাথে কোন ঝামেলায় যাইতে চাচ্ছি না আর ইউএনও স্যার চাইলেই পারে হাটটি তুলে দিতে।
হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বিএনপি নেত্রী জেয়ারা খাতুন রুজি জানান, হাটবাজার একটা নীতিমালা আছে, সেই নীতিমালাতে বলা আছে জনস্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এলাকার স্বার্থে যদি প্রয়োজন মনে করে জনগণ যে এখানে ঈদ হাট আদারওয়াইজ অন্য কিছু ফ্লাড সেন্টার, দুর্যোগপূর্ণ সময়ে কোনো কিছু সেল্টার নেয়া ঠিক আছে, এগুলো জনস্বার্থে করতে পারে, এলাকার লোকজন যদি চায়; আমরা সেই প্রসেসে করছি।
এবিষয়ে ইউএনও সবুজ কুমার বসাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম জানান, স্কুলে হাট বসানো নিষিদ্ধ, যিনি এটা (হাট) দিবেন বা করবেন তিনি দায়ী থাকবেন।