অনিল চন্দ্র রায়, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পাঁচ দিনের ব্যবধানে আবারও বড়শিতে ধরা পড়ল ৯ কেজির চিতল মাছ। রবিবার (১ জুন ) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পশ্চিম ধনিরাম সাহেব বাজার এলাকায় ধরলা নদীতে বিশাল আকৃতির মাছটি বড়শি দিয়ে শিকার করেছেন শাহবাজার এলাকার শৌখিন মৎস্য শিকারি তোফাজ্জল পোদ্দার (৬০)।
সন্ধ্যায় ধরলা নদীতে মৎস্য শিকারি বড়শিতে ধরা পড়া ৯ কেজি ওজনের চিতল মাছটি নিয়ে শাহবাজারে আসামাত্র হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। পর পর একই স্থানে বড়শিতে বড় বড় দুটি চিতল মাছ শিকার করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বড়শিতে বিরাট মাছ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছটি দেখতে বাজারে থাকা শতশত উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। এবারও পরিচিতিদের চাপে ৯ কেজি ওজনের মাছটি শাহ বাজারে কয়েকজন মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নেন। শৌখিন মাছ শিকারি তোফাজ্জল হোসেন পোদ্দারের বাড়ি উপজেলার শাহ বাজার এলাকায়।
মৎস্য শিকারি তোফাজ্জল পোদ্দার জানান, ছোটবেলা থেকে বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরা তার শখ। তিনি সুযোগ পেলেই বঁড়শি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মাছ ধরতে। সখের বসে দুই তিনদিন পর সাহেব বাজার এলাকায় ধরলা নদীতে দুইটি বড়শির ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে যান। রবিবারও ঘণ্টা তিনেক আশা নিয়ে ছিপ ধরে বসে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তার আশা পূরণ করে বঁড়শিতে আটকে যায় বিরাট এক চিতল মাছ। অবশেষে আবারও শিকারির কৌশলের কাছে হার মেনে বঁড়শিতে উঠে আসে ৯ কেজি ওজনের বিরাট চিতল মাছ। তিনি আরও জানান আমি মাছ ব্যবসায়ী না। সবার অনুরোধে ৯ কেজির ওজনের মাছটির দাম ১১ হাজার টাকা নির্ধারণ করে পরিচিত লোকজন আমার জন্য তিন ভাগ রেখে তারা সবাই মিলে বাকিগুলো ভাগবাটোয়ারা করে নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মাহফুজার রহমান জানান, বঁড়শিতে আবারও ৯ কেজি ওজনের চিতল মাছটি ধরতে সক্ষম হন শৌখিন মৎস্য শিকারি তোফাজ্জল হোসেন। তিনি কিন্তু মাছ ব্যবসায়ী নন। মাছটি বিক্রি করবেন না৷ স্থানীয় তার পরিচিত লোকজনের জোরাজুরিতে ৯ কেজির ওজনের মাছটি ১১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। তিনি তিন ভাগ নিজে খাওয়ার জন্য দেন।
স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম ও হাবিবুর রহমান জানান, এতো বড় মাছ ধরলায় পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি কোন ক্রমেই মাছি বিক্রি করবেন না। আমাদের অনুরোধে তিনি শেষ পর্যন্ত রাজি হন। মাছটির স্বাদ অসাধারণ। অনেক মজা করে পরিবারের সবাই মিলে খেয়েছি।
প্রসঙ্গে শাহবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তহিদুল হক পোদ্দার বলেন, রবিবারও শখের বসে বড়শি নিয়ে ধরলায় মাছ ধরতে যান তোফাজ্জল। এরপর সন্ধ্যায় দেখলাম ৯ কেজির ওজনের একটি বড় চিতল মাছ নিয়ে বাজারে হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। এসময় মাছটি দেখতে শতশত মানুষ ভিড় জমিয়েছে। পরে জোড় করে মাছটির দাম ১১ হাজার টাকা নির্ধারণ করে কয়েকজন মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নেন।