নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃহত্তর উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রতি বছরের বর্ষাকালের আর্তনাদ বন্যা ও অন্য বসন্তে রয়ে বিভিন্ন জর্জরিত সমস্যা। তবে যে সমস্যাই উত্তরবঙ্গ তথা ( রংপুর বিভাগের) মানুষ পরুক না ধীরে ধীরে তা সামলিয়ে উঠতে পারে। দশকের পর দশন ধরে রংপুর বিভাগের সব থেকে পাপিষ্ঠ যে বিষয়টির নাম সেটি হচ্ছে তিস্তা ও তিস্তার বন্যা। শুরু থেকে তিস্তার বন্যা আর ভয়ংকর নদী ভাঙ্গনের কারণে লক্ষ লক্ষ পরিবার হয়েছে নিজ ভিটে ছাড়া। এমনকি অর্থসুমারীতে সবার থেকে মঙ্গাপিড়িত এলাকার খেতাব উঠিয়েছে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলা। আসলে কেউ কোনোদিন ভিতরের অংশে বা কি কারণে মঙ্গার খেতাব তুলে নিল সেটাও বিবেচনা করেনি। এসবের সকলের মূল কারণ হচ্ছে ” তিস্তা ও তিস্তার বন্যা” সাথে আরও অসংখ্য নদী ও নদীপাড়ের মানুষের ভিতরের আর্তনাদ।
গেল মাস আগেও যখন সিলেট অঞ্চল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল বন্যায় ডুবে গিয়েছিল, তখন সারাদেশে ছিল একটা শোকের রাজ্যে পরিপূর্ণ। দেশবাসীর সবাই চাচ্ছিল বন্যার মানুষকে সাহায্য ও ত্রাণ দিয়ে পাশে এগিয়ে যাওয়ার। এবং দেশবাসির ইচ্ছে সফল হয়েছিল। মাত্র ৩ দিনেই কিছুটা হলেও বন্যার ক্ষতির বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে সবার সাথে কাজ করেছিল দেশের তরুণ, নবীন, প্রবীণ সহ সবাই। কিন্তু উলটা চিত্র দেখা যায় যখন তিস্তার পানিবন্দি ও নদীভাঙ্গনের লোকদের সাথে। মনে হয় যেন এ অঞ্চলের মানুষগুলো দশকের পর দশক ধরে এভাবেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা সইতে পারে ও সব কিছুই গুছিয়ে নিতে পারবে। আসলে এগুলো একদম ভিন্ন। যাদের ঘর গেছে ভিটে গেছে আর বন্যার পানি গায়ে লেগেছে তারাই আসলে বুঝে কতটুকু চাপা ব্যথা বাঁচতে হয়।
সম্প্রীতি ফেসবুকে তিস্তার বন্যা নিয়ে হচ্ছে নানা আলোচনা আর সমালোচনার ঝড়। তাদের একটাই দাবি অবহেলিত অঞ্চলে কি দেখার কেউ নেই, তিস্তা পাড়ের মানুষ আর বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া মানুষদের খোঁজ নেওয়ার কি কেউ নেই?
একজন ফেসবুকে লিখেছেন:
উত্তরবঙ্গের মানুষ বরাবরই অবহেলিত।
দক্ষিনের বন্যা হলে মানুষ যেভাবে ফান্ড করে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যায়।
উত্তরবঙ্গে বিগত অনেক ভয়াবহ বন্যা হয়েছে, কখনো বড় ধরনের ফান্ড করে উত্তরবঙ্গের মানুষদের সহযোগিতা করতে দেখিনি।
বি:দ্রা: দক্ষিণের বন্যায় আমাদের উত্তরবঙ্গে মানুষ আন্তরিক ভাবেই যতটুকু পারে সহযোগিতা করেই আসছে।।
একজন রাজু ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে চোখে কালো কাপড় পড়ে একজন বলেছেন:
অপর একজন বলেছেন:
আসলে উপরের কথাগুলো কখনও আবেগ থেকে আসেনি। মনের দুঃখ থেকেও আসেনি। সবকিছু এসেছে বাস্তবতা থেকে, এমন লক্ষ লক্ষ পোস্ট ঘুরছে ফেসবুক জুড়ে। এখন দেশ তরুণ ও তারুণ্যের হাতে, ইচ্ছে করলে সব কিছুই করা সম্ভব। তরুণ সমাজ থেকে প্রবীণ সমাজের লোকেরা এগিয়ে আসুক দেশের যে কোন অঞ্চলের সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগে। পাশে থাকুক সকল অবহেলিত মানুষের পাশে এটাই কাম্য আমার আপনার ও সবার। যে যতটুকু পারুক সহযোগিতা করুক বন্যাকবলিত মানুষের জন্য।