মো: তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
২০২১ সালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বাহাদুর বাজারের হীরামনি এলাকা থেকে মোঃ জিয়াউর রহমান, মোঃ দুলাল মুন্সি, নুরনবী জুয়েল ও প্রতিবেশী ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ বাদল ইসলামকে ডিবি তুলে নিয়ে গিয়ে মিথ্যা মাদক মামলায় আসামী করেন । ঐ মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
৩ মে শনিবার বেলা ১২ টার সময় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোঃ জিয়াউল এর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নুরনবী জুয়েল। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২০২১ সালের ২০ জুন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মোঃ জিয়াউর রহমান, মোঃ দুলাল মুন্সি, নুরনবী জুয়েল ও প্রতিবেশী ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ বাদল ইসলাম একটি বাগানে লিচু খাচ্ছিলেন। ঐ সময় দুটি হাইয়েস মাইক্রোবাস থেকে সাদা পোশাকে ২০-২৫ জন লোক নেমে এসে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালে হামলাকারীরা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদেরকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে ঢাকার মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে আমাদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং ফোনে পরিবারের কাছে ৩২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তারই প্রেক্ষিতে পরিবারের ৪ জন প্রতিনিধি মোঃ সহিদুল ইসলাম, মোঃ মেজর জলিল, মোঃ মাসুদ রানা এবং মোঃ টুটুল ইসলাম ২০২১ সালের ২২ জুন ঢাকার মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছে তাদেরকে ২ লাখ টাকা প্রদান করে। টাকা নেওয়ার পরও ডিবি সদস্যরা আমাদের ছেড়ে না দিয়ে ২৪/০৬/২০২১ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে হাতিরঝিল থানার মাধ্যমে আদালতে চালান করে দেওয়া হয়। যার মামলা নম্বর জিআর-২৮৮/ ২১, বর্তমানে মামলা ১০৫৩/২২ নম্বরে চলমান।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগকারী নুরনবী জুয়েল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, ডিবি সদস্যরা তাদের দাবিকৃত টাকা না পেয়ে মাদকের মিথ্যা মামলায় ঘটনাস্থল দেখায় ঢাকা শহরের হাতিরঝিল থানার ৩৫ নং ওয়ার্ডের মগবাজার রেললাইনের পাশে। যা সম্পূন্নরুপে মিথ্যা। আমাদেরকে নিয়ে গেলো বীরগঞ্জ হতে আর ঘটনাস্থল দেখালো হাতিরঝিল থানা এলাকায়।
আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। পাশাপাশি ডিবি অফিসের সিসি ফুটেজ ও ডিবি সদস্যদের সিসি গুলো দ্বারা আদালতের মাধ্যমে সংযুক্ত হলে আমরা মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে নিষ্কৃতি পাবো।