এ কে এম কায়সারুল আলম,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
খুলনা, যশোর, নড়াইলসহ দক্ষিণের জেলাগুলোতে চুইঝাল চাষ বেশ জনপ্রিয়। বাসাবাড়ি, হোটেল, রেঁস্তোরাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাঁস, গরু, খাসির মাংস ও মাছ ছাড়াও বিভিন্ন খাবারে বাড়তি স্বাদ পেতে এই মসলা বেশ জনপ্রিয় ভোজন রশিকদের কাছে। শুধু তাই নয়, খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যান্সার, হৃদরোগ, ক্ষুধামন্দা, গ্যাস্ট্রিক, এ্যাজমা ও হাঁপানীসহ অসংখ্য রোগের প্রতিশেধক হিসেবেও ব্যবহার করা হয় চুই ঝাল।
বিভিন্ন রোগের ওষুধিগুণ থাকায় অধিক ব্যবহৃত এই লতা জাতীয় মসলার চাষ বাড়ছে বাণিজ্যিকভাবেও । বাড়ির আনাচে কানাচে, পরিত্যাক্ত এবং সুপারি বাগানসহ বিভিন্ন গাছে পরজীবি হিসেবে বেড়ে ওঠায় খরচের তুলনায় চুই চাষে অধিক লাভ । তাই ওষুধীগুণ সম্পন্ন ও মসলা জাতীয় চুইঝাল চাষে আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাটের কৃষকদের । আর এসব চুইঝাল বিক্রিতেও নেই ঝামেলা।
দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যায় বাড়ি থেকে। অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় চুইঝাল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এ জেলার অনেক কৃষক। চুই গাছের আকার-আকৃতি ও পরিমাপ অনুযায়ী প্রতিটি চুইঝালের গাছ বিক্রি হয় ৩ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জে উপজেলার চুইঝাল চাষি লেবু জানায়, সুপারি বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় চুইঝাল লাগিয়েছেন প্রায় ২ শতাধিক, রবি কুমার লাগিয়েছেন প্রায় আড়াই শত । কৃষকরা জানান চুইঝাল চাষে তেমন কোনো খরচ নেই। যেকোনো গাছের গোড়ায় বর্ষা মৌসুমে রোপন করে মাঝে মাঝে হালকা জৈব সার ও পানি দিলেই হয়ে যায়। ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই চুই ঝাল খাওয়া কিংবা বিক্রির উপযোগী হয়। আর এসব গাছ বিক্রি হয় ৩ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
একাধিক কৃষক জানায়, চুই গাছ হুবহু পান গাছের মতো হওয়ায় এটি গাছের গোড়ায় রোপন করতে হয়। তখন চুইগাছ পরজীবির মতো করে অন্য গাছে আকড়ে ধরে থাকে। সে গাছ বড় ও মোটা হলেই খাবার ও বিক্রির উপযোগী হয়।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে,দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি এখন লালমনিরহাটে সুপারি বাগান ও বিভিন্ন গাছে সাথী ফসল হিসেবে চুইঝাল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। শুধু গাছপালা নয়, চুইঝাল চাষ করা যায় ঢালাওভাবে মাটিতে কিংবা মাচার মাধ্যমেও