Sunday, June 22, 2025
Homeরাজনীতি‘সংস্কার যা কিছু হয়েছে তা বিএনপির হাত ধরেই, ভবিষ্যতেও হবে’ : শামা...

‘সংস্কার যা কিছু হয়েছে তা বিএনপির হাত ধরেই, ভবিষ্যতেও হবে’ : শামা ওবায়েদ

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

মোজো ডেস্কঃ
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে যে সকল সংস্কার প্রয়োজন, তা অতীতেও বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। সেটা অন্য কোনো দল মানুক বা না মানুক। এটাই বাস্তব, এটাই সত্য।

শনিবার (২১ জুন) বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে বিএনপির বিভাগীয় উদ্যোগে আয়োজিত ‘সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ঐতিহাসিক সংস্কার ভূমিকা তুলে ধরে শামা ওবায়েদ বলেন, শহীদ জিয়া দিয়েছিলেন ১৯ দফা, পরে বেগম খালেদা জিয়া দিয়েছেন ভিশন-২০৩০ এবং এখন তারেক রহমান দিয়েছেন ৩১ দফা কর্মসূচি। এই ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে, দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার বিএনপিই করে আসছে।

তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন- আগামীতে বিএনপি যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়, তবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়া হবে, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, অনেকেরই গা একটু জ্বলছে- কেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে তারেক রহমানের বৈঠক হলো। এ দেশের সংস্কার, নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের প্রধানের সঙ্গে তো প্রধান উপদেষ্টা বসেছেন। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের প্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলবে, গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলবে সেটাই সবচেয়ে স্বাভাবিক ঘটনা।

দলে নতুন সদস্যপদ প্রসঙ্গে সতর্ক বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, যারা গুম, খুন, দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিপীড়ন করেছেন- তারা বিএনপির নতুন সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে কিনা? তা দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, আমি রেখে গেলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ১০ মাস হয়ে গেলেও অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে জনগণের সংস্কার প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে।

তিনি জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনকে মতানৈক্য কমিশন আখ্যা দিয়ে বলেন, সেখানে হইচই হচ্ছে, বিভ্রান্তি হচ্ছে, বয়কট হচ্ছে। কারণ কমিশনটি নিজের এজেন্ডা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিচ্ছে।

‘বাংলাদেশ চারটি প্রদেশ হবে কি হবে না এটি কি মতৈক্য কমিশনের কাজ?’ এমন প্রশ্ন রেখে আসাদুজ্জামান বলেন, এত ঝামেলাপূর্ণ অতিসংস্কারের নামে অপ্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাবগুলো দিয়ে ক্রমেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ এবং বিরোধ বাড়িয়ে তুলছে। এজন্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের সরকারের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, অনুরোধ থাকবে, যেসব সংস্কার প্রস্তাবে সব দল রাজি হয়েছে অনতিবিলম্বে সেসব সংস্কার প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। যেসব সংস্কার প্রস্তাবে একমত হওয়া যায়নি সেসব সংস্কার প্রস্তাব পার্লামেন্টারি ইলেকশনের পর পার্লামেন্টে আলোচনা হবে, ডিবেট হবে। জনগণের প্রতিনিধিরা সেখানে আলোচনা করে যেসব সংস্কার প্রয়োজন সেসব সংস্কার করবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর