গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেনাপ্রধানের একটি বৈঠকের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। সেই খবরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর-আইএসপিআর।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্তৃক ‘সেদিন বৈঠকে তরুণ সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সেনাপ্রধান’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। উক্ত প্রতিবেদনে শুধু ভারতীয় পত্রিকা ‘দ্যা উইক’ এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয়সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য আইএসপিআরের সাথে যোগাযোগ করাই সমীচীন।
সেনা সদস্যরা দোষী প্রমাণ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে, উক্ত বৈঠকটি ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়মিত একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠক, যা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় এবং সুষ্ঠুভাবে এর সমাপ্তি ঘটে। দেশপ্রেমী ও পেশাদার সেনাবাহিনী সংক্রান্ত এ ধরনের সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে জনগণের নিকট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় গণমাধ্যমের নিকট থেকে দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের প্রত্যাশা করে। সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য চেইন অব কমান্ড এর প্রতি দৃঢ় আনুগত্য এবং বিশ্বস্ততা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করে, যার প্রতিফলন তারা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করেছে এবং করছে। ভবিষ্যতে গণমাধ্যম কর্তৃক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের বক্তব্যের প্রতিফলন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আশা করে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধু বহির্দেশের কোনো সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত অপপ্রচারের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করা এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে গুজব ছড়াতে সাহায্য না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবাদ মাধ্যমসমূহকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর।