মোঃ আসতারুল আলম, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
সৌদি আরবের চাঁদ দেখা অনুযায়ী দিনাজপুরে এবারও পালিত হয়েছে আগাম ঈদুল আযহা। জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও চিরিরবন্দর, কাহারোল, বোচাগঞ্জ, বিরল ও বিরামপুর উপজেলায় ৬ জুন শুক্রবার সকালেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড় এলাকায় একটি পার্টি সেন্টারে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রায় ৩০০ মুসল্লি—পুরুষ, নারী ও শিশুসহ ঈদের নামাজ আদায় করেন। জামাতে ইমামতি করেন ফ্যামিলি কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মোহাজেরপুর গ্রামের মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
জেলার অন্যান্য এলাকাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চিরিরবন্দরের সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম ও ফতেহজংপুর গ্রাম, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রাম ও ১৩ মাইল এলাকা, বিরল উপজেলার পশ্চিম বনগাঁও জামে মসজিদ,বোচাগঞ্জ উপজেলা, বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া ও খয়েরবাড়ি দাখিল মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে সৌদির সাথে মিল রেখে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এই সব জামাতে প্রায় ২০–২৫টি গ্রামের মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে খুতবায় একই দিনে ঈদ ও কোরবানির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয় এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়।
মুসল্লিদের কেউ কেউ জানান, আগে শুধুমাত্র চিরিরবন্দর এলাকায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদ্যাপন করা হতো। এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। মুসল্লি, মো. মতিউর বলেন, “প্রথমে আমি এই প্রথার বিরোধী ছিলাম। পরে কুরআন-হাদিস পড়ে বুঝলাম, এটাই সঠিক। তখন থেকেই আমি আগাম ঈদ পালন করছি।”
আরেক মুসল্লি মো. তমিজ উদ্দিন জানান, তিনি টানা ১০ বছর ধরে সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সাল থেকে দিনাজপুরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় শুরু হয়। তখন মুসল্লির সংখ্যা ছিল কম, কিন্তু এখন তা বেড়ে হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।