Friday, May 2, 2025
Homeদিনাজপুরহাকিমপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সাড়ে ৫ মেঃ টন চাল ও ১০৪টি বস্তা জব্দ

হাকিমপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সাড়ে ৫ মেঃ টন চাল ও ১০৪টি বস্তা জব্দ

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে একটি (ধান ভাঙা) মিল ঘর থেকে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রায় ৫ হাজার কেজি,১৮০ বস্তা চাল ও খালি বস্তা ১০৪টি জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বর্তমানে চালগুলো উদ্ধার করে উপজেলা খাদ্য গুদাম এল এসডি গোডাউনে জমা রাখা হয়েছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১ কিলোমিটার দক্ষিণ পাশে মিল ঘরে (ধান ভাঙা) অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করা হয়।

জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মনশাপুর গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়। অভিযানে ওই এলাকার একটি মিল ঘর (ধান ভাঙা) থেকে সরকারি এসব চাল জব্দ করা হয়। এসময় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আল ইমরান, উপজেলা খাদ্য বিভাগ ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আলিহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ সবিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার প্রধান যেখানে দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এমন সময় সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (বস্তায় সরকারি সিল) এতগুলো চাল একটা মিল ঘরে মজুদ রাখা আছে। এটা সত্যিই অপ্রত্যাশিত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

 

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালের ডিলার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবারে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চালের বরাদ্দ পেয়েছি ১৩৪১ বস্তা (৩০ কেজি বস্তা)। দুই দিনে বিক্রি করা হয়েছে ১৩০৫ বস্তা বাকি ৩৬ বস্তা জমা রয়েছে যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত আছে। আমার কাছে মাস্টার রোল বা তালিকা আছে। বিক্রির পরে এতগুলো সরকারি সিলযুক্ত বস্তায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মিল ঘরে কীভাবে আসে আমার জানা নেই। আমি পরিষদে চাল বিক্রি করি এরপর পরিষদের প্রায় ১ কিঃ মিঃ দূরে চাল পাওয়া গেলে এর দায়দায়িত্ব আমি নিতে পারবো। দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।

 

আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আল ইমরান জানান, এখানে পরিষদের সংশ্লিষ্টতার কোন সুযোগ নাই। চাল বিক্রয়ের পরিষদের ভিতরে একটি একটি করে চালের বস্তা সুবিধাভোগীরা গেট দিয়ে বাহির করে নিয়ে আসে। এরপরও এতোগুলা চাল মিল ঘরে জমা আছে বিষয়টা আমার বোধগম্য নয়। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানাচ্ছি।

 

এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনে একটি মিল ঘরে মজুত করে রাখা হয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের মনশাপুর বাজারের পাশে একটি মিল ঘরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মিল ঘর থেকে প্রায় ৫ হাজার কেজি (১৮০ বস্তা) সরকারি চাল পাওয়া যায়। এ সময় গোডাউন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০৪টি সরকারি বস্তাও পাওয়া গেছে। ডিলার কর্তৃক বিক্রির পরে এতগুলো সরকারি খাদ্যবান্ধব চাল এখানে মজুদ রাখা বেআইনি ও অপরাধ। তবে অভিযানের সময় চালক ও মিল মালিকে পাওয়া যায়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালগুলো জব্দ করে উপজেলা খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে নিয়মিত মামলায় জড়িতদের নাম উল্লেখসহ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর