আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সেনা অভিযানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আবারও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। আবদালির পর এবার ফতেহ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল দেশটি। সোমবার মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রের এ পরীক্ষা চালানো হয়।
সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের পর থেকে পাকিস্তান সরকার ‘অপারেশন সিন্ধু’ মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। গত শনিবারই পাকিস্তান আবদালি নামে ৪৫০ কিমি পাল্লার একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়।
এরপরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, জাতির সুরক্ষায় তার দেশ পুরোপুরি তৈরি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফল পরীক্ষা ফের একবার প্রমাণ করল দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত হাতে রয়েছে।
পাকিস্তানের সেনা প্রচার মাধ্যম ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে সেনাবাহিনী যে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, তা বোঝানো। এছাড়াও ক্ষেপণাস্ত্র আবদালির প্রযুক্তিগত এবং কৌশলগত নৈপুণ্য ও নিখুঁত লক্ষ্যভেদের ক্ষমতা পরীক্ষা করাও উদ্দেশ্য ছিল।
এদিকে পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। পাশাপাশি ডাক ও পার্সেল সেবা বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছে দেশটি।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশির ভাগই পর্যটক। এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে নয়াদিল্লি। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে আসছে পাকিস্তান। ওই হামলার পর থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়।
এ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) বরাবর সপ্তম দিনের মতো দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাবিনিময় হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিবেশী এই দুটি দেশই সীমিত পরিসরে হামলার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সূত্র: দ্য ডন