মোজো ডেস্কঃ
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনা মনিটরিংয়ের ব্যাপারে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, কোনো আপত্তি নাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানগণ নির্দেশনা দিচ্ছেন, কোনো আপত্তি নাই। উনারাই তো মন্তব্য দেবেন। কিন্তু এখানে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাজটা কী? মানে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাজটা কী? উনি কি এ ধরনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অনেক অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি? উনার কি এই বিষয়ের উপর বিশেষ কোনো ট্রেনিং আছে? নাই। এটা কি উনার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পড়ে? তাও পড়ে না। তাহলে উনি কেন?
বুধবার (১৬ জুলাই) ‘কথা’ নামের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তো পুরো উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠতম একজন ব্যক্তি। তাহলে উনি এখানে কেন? এবং উনি কেন এই জিনিসটা উনার ফেসবুকে দেন? এটার মাধ্যমে মানুষের কাছে কী মেসেজ ছড়ায়? তাহলে কি এখানে এখন একটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কিছু ঘটনা ঘটবে? এই বিষয়গুলো কিন্তু মানুষের মধ্যে প্রশ্ন আকারে এসেছে। আমি জানি না, আল্টিমেটলি কী হবে? এই সামনের দিনগুলোতে আমাদের কী দেখতে হবে? তবে আমি এটুকু বুঝি, এই সামনের দিনগুলোতে গোপালগঞ্জের মানুষের জন্য ভালো কিছু ঘটবে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জ নিয়ে অনেক কথা আছে। হাসিনার আমলে এই জেলার লোকজন অনেক বাড়তি সুবিধা পেয়েছে, এটা যেমন সত্য। তার আগে দেখেছি বিএনপির আমলে বগুড়ার লোকজন বাড়তি সুবিধা পেয়েছে, এটাও সত্য।
তার অনেক পরে বর্তমানে দেখছি ইউনূস সাহেবের আমলে চট্টগ্রামের লোকজন সুবিধা পাচ্ছে, এটাও সত্য। এবং গ্রামীণ ব্যাংকের লোকজন সুবিধা পাচ্ছে, এটাও সত্য। এগুলো তো আমরা দেখে আসছি। এগুলো তো ক্ষমতায় যারা থাকে, তাদের কালচারে পরিণত হয়েছে। এখন একদল যখন নেমে যায়, আরেকদলের মাধ্যমে তাদের ওই জেলাগুলোকে নানা রকমভাবে নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়।কেন পড়তে হয় জানি না। এখন গোপালগঞ্জের জন্য সেই সময়টা চলে এসেছে কি না, আমি সেটাও বলতে পারব না।
এ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আজকে ছিল ১৬ জুলাই। জুলাই আন্দোলনের সবচেয়ে স্পার্কিং যে মুখটা সেটা আজকের দিনে হয়েছিল। আজকের এই দিনে এনসিপিকে কেন গোপালগঞ্জেই যেতে হল? এনসিপির সারা দেশে যে পদচারণা, ততটা পদচারণা কি গোপালগঞ্জে আছে? থাকার কোনো কারণ নাই। এনসিপি সারাদিন যেভাবে বঙ্গবন্ধুর নামে উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলেন, সেটা শোনার পর উনারা কি আশা করেছিলেন যে গোপালগঞ্জের লোক তাদের ফুলের মালা নিয়ে তাদেরকে বরণ করবে? তাহলে গোপালগঞ্জেই কেন এই গন্ডগোলটা হবে?এই গন্ডগোলটাকে ইনিশিয়েট করার জন্য কোনো মতলব কারো ছিল অথবা প্রশাসন বা কেন এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারলো না- এটাও কিন্তু প্রশ্ন আকারে আমার ধারণা আসবে। সাধারণ মানুষ এ সমস্ত প্রশ্ন করছে।