লালমনিরহাটে এনজিওর কার্যালয়ে দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত
লালমনিরহাটে একটি প্রকল্পের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহে গিয়ে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছনা ও মারধরের শিকার হয়েছেন। রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার বানভাসা মোড়ে অবস্থিত বেসরকারি সংস্থা ইউএসডিও (USDO) কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক হলেন, আরটিভির লালমনিরহাট প্রতিনিধি মিজানুর রহমান ও তার ক্যামেরাপার্সন আরিফুল ইসলাম।

এ ঘটনায় মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ইউএসডিও’র চার কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, সরকারি অর্থায়নে সিসিপি প্রজেক্টের আওতায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় ইএসডিও-ইকো ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (EIT) ‘তিস্তা টেকনিক্যাল সেন্টার ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (TTCHD)’ নামে একটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার পরিচালনা করছে। ওই প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে সাংবাদিকরা দুপুর ২টার দিকে সেখানে যান।
মিজানুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে অনিয়মের প্রমাণ পাই। ইনচার্জ খাদেমুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে হঠাৎ কয়েকজন কর্মকর্তা আমাদের ওপর চড়াও হয়ে বলে ওঠেন ‘রশি আনো, এদের বাঁধবো’। এরপর তারা গেটে তালা মেরে আমাদের আটকে রেখে মারধর করে ও মোবাইল কেড়ে নেয়।
অভিযোগে হামলাকারী হিসেবে ইউএসডিও’র কর্মকর্তা সুজন মিয়া, এরশাদ আলী, রমজান আলী ও ইনচার্জ খাদেমুল ইসলাম-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউএসডিও’র এক ট্রেইনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাংবাদিকরা হঠাৎ প্রবেশ করে প্রশ্ন করলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে উত্তর দিইনি। পরে কিছু কথাবার্তায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা দায়িত্বপালনের অংশ হিসেবে তথ্য সংগ্রহে গিয়েছিলাম। বিনা কারণে হামলা চালিয়ে আমাদের অপমান করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুন্নবী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে আমি নিজেও উপস্থিত হই। এ ঘটনায় সাংবাদিক মিজানুর রহমান লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য লিখুন