পঞ্চগড়ে বিজয় দিবসে প্রশ্নবিদ্ধ দপ্তর: আলোকসজ্জা নেই, সূর্যাস্তের পরও উড়ছে জাতীয় পতাকা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলার সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ছিল বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জা। জেলা প্রশাসনের সার্বিক নির্দেশনার আলোকে জাতীয় এই গৌরবময় দিবসকে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের অংশ হিসেবে পুরো জেলা ছিল উৎসবের আলোয় উদ্ভাসিত।
তবে এর ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে পঞ্চগড় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে। সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও সেখানে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা হয়নি। একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরের এমন অনুপস্থিতি সাধারণ মানুষ ও সচেতন মহলের মধ্যে বিস্ময় ও প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের স্মরণে যখন পুরো জেলা উৎসবমুখর পরিবেশে আলোকিত, তখন একটি সরকারি দপ্তরে জাতীয় দিবস পালনের দৃশ্যমান কোনো আয়োজন না থাকায় বিষয়টি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সরকারি দপ্তর হয়েও জাতীয় দিবস পালনে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা না মানা দায়িত্বহীনতার পরিচয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। একাধিকবার তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, সন্ধ্যা ৭টায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় ঘুরে দেখা যায় সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত অবস্থায় রয়েছে। অথচ প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় পতাকা সাধারণত সূর্যাস্তের সময় নামিয়ে নেওয়ার কথা। বিষয়টিকেও অনেকেই জাতীয় পতাকা ব্যবহারের শিষ্টাচার লঙ্ঘন ও অবহেলা হিসেবে দেখছেন।
সচেতন নাগরিকদের মতে, মহান বিজয় দিবস কোনো সাধারণ আনুষ্ঠানিকতা নয় এটি জাতির আত্মত্যাগ, ইতিহাস ও গৌরবের প্রতীক। তাই জাতীয় দিবস পালনে সরকারি দপ্তরসমূহের দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। পঞ্চগড় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের এমন আচরণ ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি রাখে বলে মনে করছেন তারা।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য লিখুন