আজঃ সোমবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৫ -এ ১৯ কার্তিক ১৪৩২ - ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭
  • আজ রংপুরের আবহাওয়া
• আমরা ত্রাণ চাই না, পরিত্রাণ চাই : ড. আতিক মুজাহিদ • চিরিরবন্দরে অজ্ঞাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার। • বেরোবিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত • গাইবান্ধায় গরু চুরির অভিযোগে গণ পিটুনি, তিন জনের মৃত্যু • দিনাজপুরে পুলহাট-খানপুর সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু • আমরা ত্রাণ চাই না, পরিত্রাণ চাই : ড. আতিক মুজাহিদ • চিরিরবন্দরে অজ্ঞাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার। • বেরোবিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত • গাইবান্ধায় গরু চুরির অভিযোগে গণ পিটুনি, তিন জনের মৃত্যু • দিনাজপুরে পুলহাট-খানপুর সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু

দিনাজপুরে পুলহাট-খানপুর সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু

Nuclear Fusion Closer to Becoming a Reality6

মোঃ আসতারুল আলম

মোঃ আসতারুল আলম , দিনাজপুর সদর , দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

আপডেটঃ 2 নভেম্বর, 2025

দিনাজপুর শহরের পুলহাট থেকে খানপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের দুইধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

রবিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে পুলহাট পুলিশ ফাঁড়ির মোড় থেকে এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সচিব (এস্টেট ও আইন) মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৪২ সালে অধিগ্রহণকৃত জমি উদ্ধারের লক্ষ্যে এর আগেও ২০০২ সালে গেজেটের আওতায় উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে মামলা ও জটিলতার কারণে সে সময় অভিযান স্থগিত হয়। এবার পুনরায় নোটিশ, মাইকিং ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অনেকেই নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছেন।

রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে পুলহাট থেকে খানপুর পর্যন্ত (জেড-৫৮০২) মহাসড়কের দুই পাশে ১২০ ফিট পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “এই জমিগুলো ১৯৪২ সালে গেজেটভুক্ত হয়েছে। সেহেতু মালিকানা দাবির সুযোগ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।” এই অভিযানে অংশ নিয়েছে এস্কেভেটর-ভেকুসহ কয়েকশ শ্রমিক, পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

তবে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন, সড়ক বিভাগ কোন জরিপের ভিত্তিতে কত জমি উচ্ছেদ হবে, তা স্পষ্টভাবে জানায়নি। তারা বলেন, “৮৩ বছর ধরে এসব জমি ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, দলিল সম্পন্ন হয়েছে, নামজারি ও খাজনা পরিশোধ হয়েছে। সরকার এই খাতে বিপুল রাজস্ব আদায় করেছে। অথচ এখন আইনানুগ বৈধতা ছাড়াই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে।”

একটি সূত্র জানিয়েছে, যদিও সড়ক বিভাগের জায়গায় ১২০ ফিট পর্যন্ত উচ্ছেদ করার কথা বলা হয়েছে, বাস্তবে উচ্ছেদ করা হচ্ছে ৮৫ ফিট পর্যন্ত। এর কারণ সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

এই উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় দুই হাজার দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, এবং প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

মন্তব্য লিখুন

সাম্প্রতিক মন্তব্য

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সম্পাদকের কলাম