গাইবান্ধায় প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই, বন্যার আশঙ্কা

গাইবান্ধা জেলায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা, করতোয়া ও যমুনা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদে ফুলছড়ি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে ঘাঘট নদে গাইবান্ধা সদর অংশে, তিস্তা নদীর সুন্দরগঞ্জ ও কাউনিয় পয়েন্টে, করতোয়া নদীর গোবিন্দগঞ্জ অংশে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে।
বিকাল ৬ টার রেকর্ড অনুযায়ী:
ব্রহ্মপুত্র নদ: বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে, ১৮.৩৮ সেমি
তিস্তা নদীর সুন্দরগঞ্জ: বিপদসীমার ০.২৩ সেমি নিচে, ২৯.০৮ সেমি
ঘাঘট নদ: বিপদসীমার ৩ সেমি নিচে, ১৯.৬৮ সেমি
করতোয়া নদীর চক রহিমাপুর: বিপদসীমার ১.৫ সেমি নিচে, ১৮.০১ সেমি
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে গেছে। এতে কৃষিজমিতে আমন ধান, আউশ ধান, বীজতলা ও সবজি ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। অনেক গ্রামীণ রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে।
তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষ ইতিমধ্যে বন্যার আশঙ্কায় ঘরের আসবাবপত্র ও গবাদিপশু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, উজান ঢল ও চলমান ভারী বর্ষণের কারণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হচ্ছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য লিখুন