শ্রমিক অসন্তোষ উসকাতেই ‘অপহরণ নাটক’, দাবি পুলিশের

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীন কারখানার শ্রমিক ছাইদুল ইসলাম ওরফে সাইফুল (২৫) নিখোঁজের দুই দিন পর উদ্ধার হয়েছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে কর্দমাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তবে পুলিশ দাবি করছে, এটি আসলে নিখোঁজ বা অপহরণের ঘটনা নয়, বরং শ্রমিক অসন্তোষ উসকে দিতে এবং মালিক পক্ষের কাছে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে সাইফুল নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে ‘অপহরণ নাটক’ সাজান।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ.বি.এম ফয়জুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “গত ১২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রীকে আনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন সাইফুল। ঘটনার দিনই তাঁর বাবা শফিকুল ইসলাম নীলফামারী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তদন্তে আমরা পাই, তিনি নিজের ইচ্ছায় আত্মগোপনে যান। শ্রমিক অসন্তোষকে পুঁজি করে মালিক পক্ষের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা গ্রহণের প্রমাণও মিলেছে।”
ফয়জুল ইসলাম আরও বলেন, “উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল স্বীকার করেছেন এটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের সঙ্গে যোগসাজশে তিনি এই ষড়যন্ত্রে অংশ নেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রচারণা চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ।”
এই ঘটনায় সাইফুল, তাঁর বাবা শফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে ডিবি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম.আর সাঈদ ও ডিবি পুলিশের ওসি আক্তার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক অসন্তোষের সময় শ্রমিকদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সাইফুল। ওইদিন পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান হাবিব নামে এক শ্রমিক নিহত হন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য লিখুন